
বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্কঃ চোখের সামনে তিল তিল করে শেষ হয়ে গিয়েছেন বহু বছরের সঙ্গী। জীবনের বাকি পড়ে থাকা দিনগুলোয় বেঁচে থাকার ইচ্ছেটাই যেন চলে গিয়েছে একাত্তর বছরের সুবিমলবাবুর। ছেলে-মেয়ে প্রবাসে। একলা ঘরে দিন কাটতে চায়না। খেতে ইচ্ছে করেনা। চল্লিশ বছরের সঙ্গীর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে রোজ বলেন, “আমায় তাড়াতাড়ি ডেকে নাও তোমার কাছে।”
করোনার থাবা অকালে কেড়ে নিয়েছিল স্ত্রীকে। মেয়েটা তখন বড্ড ছোট। সবাই বলেছিল, আবার বিয়ে করে থিতু হতে। শৌভিকের ইচ্ছেই করেনি। সেই কলেজ থেকে আট বছরের প্রেম, পাঁচ বছরের দাম্পত্য। পর্ণাকে ছাড়া যে আজও কারও কথা ভাবতেই ইচ্ছে করে না! দু’বছরের একরত্তি মেয়ে অগত্যা মামারবাড়িতেই বড় হচ্ছে। আর তার মধ্য তিরিশের বাবা যেন বুড়িয়ে গিয়েছে অকালেই।
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন স্ত্রী। ষোলো বছরের দাম্পত্যে আচমকা দাঁড়ি। মনে হয়েছিল বাকি পড়ে থাকা এত বড় জীবনটা কাটবে কীকরে! কিছুদিন পরে এক সহকর্মীকে বিয়েও করেছিলেন। কিশোর পুত্র চলে গিয়েছিল হস্টেলে। কিন্তু ফাঁক রয়ে গেল অন্য কোথাও। প্রতি পদেই যে হারানো স্ত্রীকে মনে পড়ে! তুলনা করে বসেন নতুনের সঙ্গে।
স্বামীহারা নারীর যন্ত্রণা, অবসাদ ছুঁয়ে যায় অনেককেই। একই পরিস্থিতিতে থাকা পুরুষের মনকে বুঝে দেখার অবকাশ হয়ে ওঠে না হয়তো। কারণ এ সমাজই শিখিয়েছে, পুরুষের চোখের জল ফেলা মানা। কিন্তু তা বলে কি তাঁদের যন্ত্রণা কম? মনস্তত্ত্বের অধ্যাপিকা নীলাঞ্জনা সান্যালের মতে, বিপত্নীক পুরুষের যন্ত্রণাটা বরং অনেকটাই বেশি। কিন্তু কেন এমনটা হয়?
একলা থাকার অভ্যেস
স্বামীকে হারানো স্ত্রী কিংবা স্ত্রীকে হারানো স্বামী, একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় দু’জনকেই। তবে নীলাঞ্জনা বলছেন, স্ত্রী-হারা পুরুষের মানসিক কষ্ট তুলনামূলক ভাবে অনেকটা বাড়িয়ে দেয় তাঁর একাকীত্ব। কারণ, একজন নারী সংসারের কাজের সঙ্গে যতটা জড়িয়ে থাকেন, পুরুষ ততটা পারেন না। স্বামীহারা নারী সাংসারিক কাজকর্মে সময় কাটিয়ে দুঃখের বোঝাটাকে খানিক লাঘব করতে পারেন। পুরুষ তা না পারার ফলে সময় কাটতে চায়না। যন্ত্রণা বা একাকীত্বও আরও বেশি করে চেপে বসে।
তবে নীলাঞ্জনার মতে, যত জন পুরুষ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন হন, তাঁদের সকলের কষ্ট বা সমস্যা এক রকম হয়না। তাঁর কথায়, “সব বিপত্নীক পুরুষের প্রতিক্রিয়া এক রকম না হওয়ার নেপথ্যে মানসিক বা সামাজিক কারণ যেমন আছে, তেমনই আছে তাঁদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য। অল্পবয়সে এই পরিস্থিতির শিকার হলে এবং স্ত্রীর প্রতি ইতিবাচক মানসিকতাই প্রধান হয়ে থাকলে, সেই পুরুষ হয়তো অন্য কাউকে সঙ্গী হিসেবে খুঁজবে না। কিন্তু স্ত্র্রীর স্মৃতি, তার সদর্থকতা যদি তাঁর বোধের মধ্যে ডুবে থাকে, তবে অনেক রকম মানসিক অসুবিধে হয়। নিজস্ব কথা বলা, ঝগড়া করা বা পারিবারিক সমস্যা আলোচনা করার মানুষটার অনুপস্থিতি তাঁকে একা করে দেয়। সন্তানের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা হয়তো এতে খানিকটা প্রলেপ দেয়। সন্তান না থাকলে পরিবারের লোক বা বন্ধুবান্ধবের সহায়তায় এই সমস্যার সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসা যেতে পারে। পরিণতমনস্ক মানুষ নিজস্ব শোক-সন্তাপ সামলে পুরনো সম্পর্কের সুরটাকে মনের মধ্যে ধরে রেখেও চলতে পারেন। তবে সাধারণ ভাবে সব মানুষেরই একাকীত্বের বোধটা বেশি, পুরুষদের আরও বেশি। কেউ সংসারের নানা কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে তবু কিছুটা মানিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু যে পুরুষ স্ত্রীর উপরে পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে জীবন কাটিয়েছেন, হাতের কাছে সব জুগিয়ে দেওয়া হয়েছে, খাওয়াদাওয়া-ওযুধপত্র বা বাড়ির কোনও কিছুতে মাথা ঘামাতে হয়নি, স্ত্রীর অবর্তমানে তাঁর জীবনটা অন্ধকার মনে হয়, দিশাহারা লাগে। বিশেষত বৃদ্ধবয়সে স্ত্রীবিয়োগ হলে, দেখার কেউ না থাকলে একটা ভয় তৈরি হয়। অর্থাভাব থাকলে অবহেলার পাত্র হয়ে পড়ার মতো আশঙ্কাও জাগে। কিন্তু যে ব্যক্তি কিছুটা মানিয়ে নিয়ে চলতে পারেন, তাঁর জীবনপ্রবাহে কিছুটা জায়গা ঝাপসা হয়ে গেলেও হয়তো এতটা শূন্যতা আসে না। আবার যাঁর শোক সহ্য করার ক্ষমতা অনেক বেশি, তাঁর হয়তো মনে হতে পারে একটা মানুষের পাশে থাকার যে দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করতে পারলেন, স্ত্রীকে একাকীত্বের কষ্ট পেতে হল না। তাতে একটা সম্পূর্ণতার বোধ আসে।”
নতুন সাথীর খোঁজ
স্ত্রীর মৃত্যুর পরে কেউ কেউ হাঁটেন আরেকটা বিয়ের পথে। সেই সিদ্ধান্ত আসতে পারে নানা কারণেই। নীলাঞ্জনার মতে, “কেউ অল্পবয়সে স্ত্রীকে হারিয়ে ভাবতে পারেন এত বড় জীবনটা একলা কাটবে কী করে। কেউ সন্তানের প্রতি দায়দায়িত্বের কথা ভেবে নতুন করে থিতু হন। কারও আবার যদি স্ত্রীর সঙ্গে তেমন সম্পর্ক না থেকে থাকে, তবে অন্য কোথাও নোঙর বাঁধতে পারেন সহজেই। আবার দাম্পত্যজীবন প্রবল অশান্তিতে কাটিয়ে থাকলে স্ত্রীর মৃত্যু বরং স্বস্তি বা মুক্তির বোধ এনে দেয়। সামাজিক বা আইনি সমস্যার ভয় থাকে না আর। এ ছাড়া, সন্তান থাকা বা না থাকা, তার প্রতি মমত্বের মাত্রা কিংবা পারিবারিক ঘেরাটোপের উপরেও নির্ভর করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত।“
পাশে থাকার প্রলেপ
স্ত্রীকে হারিয়ে কেউ ডুবে যান অবসাদে, কেউ বা নানা ধরনের মানসিক সমস্যার শিকার হন। এমন বাবাদের কতখানি সাহায্য করতে পারেন সন্তানেরা? “সন্তান যদি কাছাকাছি থাকেন, তখনও বাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয়। কিন্তু আজকাল কাজের যা ধরন, কিংবা হয়তো সন্তান অনেক দূরে থাকেন, তখন ইচ্ছে থাকলেও সেই সাহচর্য মেলেনা। বাবা এবং সন্তান দু’জনেই তখন কষ্ট পান। বিশেষত বৃদ্ধবয়সে সঙ্গীহীন হলে অসুবিধেও হয় খুব। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে কাজের লোকের দায়িত্বে বাবার জীবন কাটে। স্ত্রী যেভাবে সবদিকে খেয়াল রাখতেন, সেটা আর হয়ে ওঠে না। স্ত্রী বেঁচে থাকাকালীন যদি তাঁর সঙ্গে নিত্য খারাপ ব্যবহার করে থাকলে, সেই অপরাধবোধও তাই ঘিরে ধরে এসময়ে,” বলছেন নীলাঞ্জনা।
বাঁচার ঠিকানা
জীবনসঙ্গীর অভাবের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বড্ড কঠিন। তবু বাঁচার পথ খুঁজতেই হয়। নীলাঞ্জনার মতে, বয়স অনুযায়ী পছন্দসই কোনও কাজে বা শখে জড়িয়ে পড়তে পারলে ভাল। ফোটোগ্রাফি হোক বা বাগান করার মতো কাজে মন বসাতে পারলে সৃষ্টির আনন্দ মনের ভারকে একটু একটু করে লাঘব করে দিতে পারে। বই পড়া, গান শোনা, হাল্কা শারীরিক কসরত, বা যোগব্যায়াম, বিশেষত প্রাণায়ম উপকারী হতে পারে। এ ছাড়া কাউন্সেলিং বা জেরিয়াট্রিক কাউন্সেলিং তো আছেই। স্ত্রীকে হারিয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া পুরুষদের নীলাঞ্জনা বলছেন তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কথাও- “জন্মান্তরে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা এটা নিজেদের বোঝান, আবার দেখা হবে হারানো প্রিয়জনের সঙ্গে। এটা তাঁদের বাঁচার শক্তি জোগাবে।”
স্কুলের শৌচাগার থেকে শিশুদেরও হতে পারে মূত্রনালির সংক্রমণ! সন্তানের কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
এক টুকরো কর্পূর বদলে দিতে পারে জীবন! এই নিয়মে ব্যবহার করলে সংসারে থাকবে সুখ, অভাব হবে না টাকাপয়সার
লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত দীপিকা, এই সাধারণ সমস্যাগুলোও মারণ রোগের লক্ষণ হতে পারে! উপেক্ষা করলেই তিলে তিলে শেষ হবে শরীর
রোজ রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাচ্ছেন? শরীরে কোন কোন রোগ বাসা বাঁধছে জানেন?
প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করলেন সঙ্গী! খেলেন নৈশভোজ! কারণ শুনে ভয়ে কাঁপবেন আপনিও
অকালে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ? নামীদামি প্রসাধনী বাদ দিন, এই ঘরোয়া ক্রিমের জাদুতেই ফিরবে জেল্লা
ফ্যাটি লিভারের মোক্ষম দাওয়াই! লিভার থেকে ছেঁকে বার করবে টক্সিন, পাতে শুধু রাখুন এই কটি খাবার
আড়ালে পরনিন্দা-পরচর্চাই ভাল রাখবে শরীর-স্বাস্থ্য! গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য
শনি মন্দিরে কেন কালীর মূর্তি রাখা হয়? শনিদেবের সঙ্গে কালীপুজোর নিয়ম কেন? শনি জয়ন্তীতে জানুন আসল কারণ
এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা! স্বামীর মৃত্যুশোক ভুললেন দুই মিনিটে, ল্যাপটপে কী খুঁজে পেলেন মহিলা
তরতরিয়ে কমবে ওজন, উধাও হবে সব জটিল রোগ! শুধু ৬-৬-৬ নিয়মে হাঁটলেই ম্যাজিকের মতো মিলবে ফল
বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিড? নিয়মিত এই সব খাবার খেলেই ঝাঁঝরা হয়ে যাবে শরীর! বদলে কী খাবেন জানুন
যৌন মিলনে অনীহা? শরীরে এই ভিটামিনের অভাবেই সঙ্গমের ইচ্ছা তলানিতে নয় তো! সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ার আগে জানুন
শনি জয়ন্তীতে বড় মঙ্গলের বিরল সংযোগ! শনিদেবকে প্রসন্ন রাখতে করুন এই সব কাজ, কখনও পিছু নেবে না অভাব-অনটন
বৃষ্টির বিকেলে চায়ের সঙ্গে ‘টা’ হিসাবে বানিয়ে ফেলুন ভুট্টার কাটলেট, শিখে নিন রেসিপি