
শনিবার ২৪ মে ২০২৫
কলকাতা, বাঙালিয়ানার প্রতি একটা অদ্ভুত ভালবাসা আর দায়িত্ব। ভালবাসার শহরটাকে কিছু ফেরত দিতে চান বলেই তাঁর ছবিতে এলেমেলো মনেকেমন করা হওয়ার মতো বারবার চলে আসে কলকাতা। বানিয়ে ফেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ওপর শর্ট ফিল্ম। তিনি, পরিচালক সুজয় ঘোষ। আর একটা বিষয়, না বিষয় নয়। বলা ভাল, আর একজনের প্রতি অসম্ভব শ্রদ্ধা তাঁর। সত্যজিৎ রায়। ‘রে’ আড্ডায় আপন খেয়ালে মনের নানান কথা বললেন এই জনপ্রিয় বলি পরিচালক। শুনলেন রাহুল মজুমদার।
“জানো তো, সত্যজিতের ছবি খানিক বড় হয়ে দেখেছি। ওঁর লেখা, আঁকার মাধ্যমেই ওঁর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। খুব গল্পের বই, কমিকস পড়তাম ছোটবেলায়। সেই সময়ে একদিন হাতে এল সন্দেশ! সেই প্রথম পরিচয় সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে। প্রথমে ওঁর লেখা ছোটগল্পগুলো পড়েছিলাম। তারপর...তারপর ফেলুদা। আরেকটা কথা বলি, আমি সত্যজিতের অন্ধ ভক্ত হলেও উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় কিন্তু আমার হৃদয়ে!”
পরিচালক সত্যজিতের প্রসঙ্গ ওঠার প্রায় একসঙ্গে প্রশ্ন উঠল নির্দেশকের আসনে বসে হাতপাকানোর সময়ে রে -এর কোন বিষয়টা সবথেকে প্রভাবিত করেছিল সুজয়কে? একেবারে নিজস্ব ছন্দে ‘বদলা’র পরিচালক বলে উঠলেন, “আরে পরিচালক হিসাবে আমি তো নানান ছবি দেখে দেখেই কাজ শিখেছি। আমার তো আর প্রথাগত তেমন কোনও ফিল্ম স্কুলের শিক্ষা ছিল না। সত্যজিতের সব ছবি আমার কাছে এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো। সত্যজিৎ রায়ের থেকে পরিচালক হিসাবে যেটা শিখেছি, তা হল - আমার কাজ হচ্ছে গল্প বলা। স্টোরিটেলিং। সেটাই আমার একমাত্র কর্তব্য। গল্পটা যে-ই লিখুক না কেন, দর্শককে কিন্তু তা বলতে হবে পরিচালককেই।”
“আর সত্যজিৎ রায় একজন অসাধারণ আঁকিয়ে ছিলেন বলেই প্রতিটি দৃশ্যের ফ্রেমকে একটা দারুণ পেইন্টিংয়ের মতো দেখতে পারতেন। এটাও খুব ইন্সপায়ার করে আমাকে। একটা উদাহরণ দিই। আমি তো খুব ভাল আঁকতে পারি না। কিন্তু আঁকার প্রতি আমার খুব ঝোঁক। কহানি শুটের আগে ভেবেই রেখেছিলাম কলকাতাকে কীভাবে অন্যরকম করে দর্শকের কাছে পৌঁছনো যায়। সেই ভাবনা থেকেই গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নানান আঁকার কাছে গিয়েছিলাম। শেষমেশ ওঁর আঁকা 'বিসর্জন' ছবিটাই কিন্তু আমার 'কহানি'র ক্লাইম্যাক্সের নির্যাস!
আসলে আঁকলে, রং, তুলি, ছবির সঙ্গে যত একাত্ম হব তত চিন্তাধারা বদলাবে আর শেষমেশ সেটা থেকেই নতুন কিছু ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি যোগ করতে পারব আমার ছবিতে। তাই আজও আমার আঁকা শেখার খুব ইচ্ছে। ভীষণ ইচ্ছে। আজও তো তাই মগজের খোরাক যোগাতে মাঝেমধ্যেই আশ্রয় নিই গগনেন্দ্রনাথ, সত্যজিতের আঁকার কাছে।”
আঁকা নিয়েও সুজয় ঘোষের বিস্তর পড়াশোনা। রসিয়ে রসিয়ে দেশ-বিদেশের নানান ঘরানার আঁকা তিনি উপভোগ করেন সময় পেলেই। সত্যজিতের আঁকা যে তাঁর হৃদয়ের খুব কাছে থাকবে তাতে আর সন্দেহ কী! তাই তো ঘূর্ণি পিচেও অনায়াসে স্ট্রেইট ড্রাইভ মারার মতো তিনি বলে উঠতে পারেন - “আঁকিয়ে! আঁকিয়ে। ইলাস্ট্রেটর হিসাবে সত্যজিৎ রায় যে পর্যায়ের তা ওঁর সাহিত্যপ্রতিভাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে বলে মনে হয়। ঈশ্বরপ্রদত্ত ব্যাপার স্যাপার... তবু বলে রাখি, এটা কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ভাবনা। ওঁর সিনেমা, লেখা, ইলাস্ট্রেশন- কোনওকিছুর তুলনা একে অপরের সঙ্গে করা আমার পক্ষে সাজে না। আমি ওঁর সব বিভাগের কাজেরই সমান গুণমুগ্ধ। সত্যজিৎকে মাপার মতো ক্ষমতা আমার অন্তত নেই।”
সত্যজিতের ছবি কি নয়া প্রজন্ম দেখে? প্রশ্ন উঠতেই খানিক চুপ অন্য প্রান্ত। ছোট্ট দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে সতর্ক ভঙ্গিতে জবাব ভেসে এল – “আমি জোর দিয়ে বলব না। তবু বলব, কম, খুব কম। যাঁরা ফিল্ম স্কুলে পড়াশোনা করছে, যারা ছবি নিয়ে উৎসাহী, অনুরাগী...তাঁদের ছাড়া এ প্রজন্ম মনে হয় দেখে না। আর এটা সত্যজিৎ রায়ের ছবির ক্ষেত্রে শুধু প্রযোজ্য নয়। এ প্রজন্মের ক'জন তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, হিচককের ছবি দ্যাখে? এসব দেখেশুনে কষ্ট হয়...”
আলতো পায়ে আড্ডার শেষের আলো তখন ছড়িয়ে পড়ছে। মজার ছলেই ‘জানে জাঁ’র পরিচালককে জিজ্ঞেস করা হল, সত্যজিৎ যদি বেঁচে থাকতেন এবং আপনার পরিচালিত সব ছবি দেখতেন, তাহলে কোন ছবিটা দেখে খুশি হতেন আর কোনটা দেখে রেগে যেতেন? শোনামাত্রই, হাসির সঙ্গে দ্রুত জবাব ভেসে এল, “ ‘অহল্যা’ দেখে খুশি হতেন বলে মনে হয়। কারণ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরও এই ছবির গল্প ভীষণ ভাল লেগেছিল, এটাই ভরসা।আর...আর... ‘কহানি’-ও সত্যজিৎ রায়ের ভাল লাগত এটা ভাবতে ইচ্ছে করছে।"
আর কোন ছবি দেখে বিরক্ত হতেন? একমুহূর্ত সময় না নিয়ে বাপি বাড়ি যা ভঙ্গিতে ফ্রন্টফুটে এগিয়ে এসে পরিচালকের জবাব “আমার মনে হয় ‘আলাদিন’। কারণ ওই ছবিতে স্বপ্নের একটা দুনিয়া তৈরি করতে আমি কিছু ভুল করেছিলাম। আর সেটাই যদি ভুল হয়, তাহলে ওই দুনিয়ার মধ্যে বসবাসকারী সবক'টা চরিত্রও ভুলভাবে তৈরি হয়। আমার দেখা ছবিতে ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং-এর আল্টিমেট উদাহরণ হচ্ছে ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’। মানে এত নিখুঁত সেই ছবির চারপাশ, পৃথিবী...তাই চরিত্রগুলোও দ্যাখো, নিখুঁত!
তাই ‘আলাদিন’-এ ওয়ার্ল্ড বিল্ডিং-এ গণ্ডগোল দেখে রায়বাবু রাগ করতেন বলেই আমার বিশ্বাস!”
ফের এক ফ্রেমে মাধুরী-সঞ্জয় দত্ত! ‘খলনায়ক’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরছেন সুভাষ ঘাই?
রাজনন্দিনীর সঙ্গে জুটিতে সায়ন, 'দুই শালিক'-এর পর 'রাজা রামকান্ত' হয়ে ছোটপর্দায় ফিরছেন নায়ক?
জামিন পাওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছেন নুসরত ফারিয়া! কী হয়েছে অভিনেত্রীর?
'দিদি নম্বর ওয়ান'-এর মঞ্চে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর সেনার স্ত্রী! তুলে ধরলেন কোন হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা?
প্রথম সপ্তাহেই ৯০-এর বেশি হল 'হাউসফুল'! বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ল 'একেনবাবু'!
নিজেদের ছবি উধাও, পোস্টে কাঁটাছেঁড়া! রাজদীপ-তন্বী প্রেমভাঙার নেপথ্যে কি অন্য নারী?
কী বীভৎস! চোখ খুলে বেরিয়ে এসেছে আরিয়ানের, কী চলছে সিরিয়ালের অন্দরে?
প্রথমবার হিন্দি সিরিজে জন ভট্টাচার্য! বলি তারকাদের সঙ্গে কোন রহস্যে জড়াবেন অভিনেতা?
রাজকুমার রাও-কে নিয়ে ফের হাসির ছবি পরিচালনায় সুজিত সরকার! দ্বিতীয় নায়ক কে জানেন?
‘হেরা ফেরি ৩’-এ এবার ‘বাবু ভাইয়া’ পঙ্কজ ত্রিপাঠি? ‘কালীন ভাইয়া’র মন্তব্যে তোলপাড় নেটপাড়া!
ভালবাসা না ধর্ম? 'ধর্ম সংকট'-এ প্রেম বনাম ধর্মের চোখরাঙানির লড়াইয়ে নামলেন সত্যম-রোশনি
দেখা মিলল ভয়ঙ্কর ছয় পেয়ে হাইব্রিড ডাইনোসরের! এখানেই কি তবে মানবসভ্যতার ইতি?
‘হীরামন্ডি’ থেকে সরাসরি কান–এ রাজরানির মতো আগমন, সিঁথির সিঁদুরেই বাজিমাৎ আদিতির
ওটিটিতে পা রাখছেন সানি দেওল! কোন পরিচালকের নির্দেশে কোন প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে তাঁর নয়া অ্যাকশন অবতার?
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের জেরে বড় চমক! ‘সনম তেরি কসম ২’-এ পাকিস্তানি অভিনেত্রীর মরওয়া হোসেনের জায়গায় এবার শ্রদ্ধা?