
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে গিয়ে একুশের নির্বাচনের বদলা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে চড়া সুরে আক্রমণ করলেন তিনি। অভিষেকের কথায, 'নন্দীগ্রামের মাটিতে বিজেপির দলদাস কেন্দ্রীয় বাহিনী, শাগরেদ নির্বাচন কমিশন, লোডশেডিং করে, কারচুপি করে বিজেপির প্রার্থীকে জিতিয়েছিল। সব সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছিল মমতা ব্যানার্জি জয়ী। হঠাৎ লোডশেডিং করে, ভোট এদিক ওদিক করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক জিতেছিলেন। দুহাজার ভোটে বিজেপি জিতেছিল। কেউ বলতে পারবেন, এরপর আমাদের সরকার পরিষেবার ক্ষেত্রে বৈষম্য করেছে? কেউ পারবেন না। শুভেন্দু অধিকারী গদ্দার। মেদিনীপুরের মানুষ গদ্দার নয়। আপনি মেদিনীপুরের মাটিকে কলুষিত করেছেন। ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। মেরুদণ্ড বিক্রি করতে গেছেন। আপনি প্রমাণ করেছেন, আপনি ভীতু। গতকাল পুলিশ তল্লাশি চালাতে গেছে, ভয়ে কেঁপে উঠেছেন। ভিডিওগ্রাফির আবেদন করেছেন। আমার হেলিকপ্টারেও তল্লাশি চালিয়েছিল। আমি তো ভয় পাইনি। আজকের সমাবেশ প্রমাণ করে দিল, এই মাটি স্বৈরাচারীদের নয়।'
মমতা ব্যানার্জি এবং বাংলার নারীদের উদ্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর 'কুমন্তব্য' ঘিরেও সরব হন অভিষেক। জনসভায় একটি অডিও শোনান। যার সত্যতা যাচাই করেনি আজকাল ডট ইন। এটি শোনানোর পরেই তাঁর বক্তব্য, 'কারচুপি করে ভোটে জেতা বিধায়কের মুখের ভাষা তো শুনলেন। এবার আপনারাই বলুন ব্লিচিং পাউডার আর ফিনাইল কার মুখে দেওয়া উচিত?'
তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, 'বিজেপি যাকে প্রার্থী করেছে, সেই ভদ্রলোক মুখ্যমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেছেন। মমতা কত টাকায় বিক্রি হন, এ মন্তব্য করছেন। তার জবাব দেবেন তো? মুখ্যমন্ত্রীর দামটা কী? পরেরবার যখন মোদি, শাহর পদলেহন করবেন, তখন জিজ্ঞেস করবেন। এখানকার লোকসভার প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রীর অপমান করেন, আর বিধায়ক সন্দেশখালির নারীদের ২ হাজার টাকা দিয়ে তাঁদের সম্ভ্রম দিল্লির অমিত শাহদের কাছে বিক্রি করেন। যারা মহিলাদের অপমানজনক কথা বলেছেন, ২৫ তারিখ তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত।'
ষষ্ঠ দফার ভোটে তমলুকে হিংসা, সঙ্ঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিষেক। জনতার উদ্দেশে অভিষেক বলেন, 'ভোট দিতে গেলে বিজেপি ধমকালে চমকালে হাতা-খুন্তি নিয়ে তাড়া করবেন। যারা ভাবছে আশিটা বুথে সন্ত্রাস করব, কাউকে ভোট দিতে দেব না, প্রতি বুথে ৮০০ ভোট দিয়ে পঞ্চাশ হাজার ভোট বাড়িয়ে নেব, তাদের পরিণতি খুব খারাপ হবে। প্রাণ বাজি রেখে একুশের বদলা নেবেন সকলে।'