
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
রিয়া পাত্র
গত কয়েকদিনে দুটো জিনিস পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল। একদিকে তাপমাত্রা, অন্যদিকে ভোট প্রচারের ঝাঁঝ। তবে আজ সমীকরণে বদল কিছুটা। হাওয়া অফিসের আগাম পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবাসরীয় সকাল থেকেই মোটামুটি স্বস্তির পরিবেশ। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় বৃষ্টি। দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই এদিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা ছিল না। গত কয়েকদিনে রোদ মাথায় করেই প্রার্থীদের দিনে দুপুরে প্রচারে নামতে হয়েছে। তাতে একদিকে যেমন প্রার্থী ঘেমে নেয়ে একসা, অন্যদিকে তেমন মিছিলের কর্মী সমর্থকদের জামা ভিজে সপসপে। বহুদিন পর এই স্বস্তিতে খুশি প্রার্থীরা। কলকাতায় টিপেটিপে বৃষ্টিতে ছাতার পরোয়া করেননি পোড়খাওয়া নেতা নেত্রীরা।
রবিবার সকালে বেলেঘাটার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার ছিল কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের। সকালের মিছিল শেষ যখন হচ্ছিল, প্রার্থী তখনই অনুভব করেন কাঁধের ওপর টিপটিপ করে কয়েকফোঁটা বৃষ্টি। তাতে কি বিরক্ত তিনি? একেবারেই না। উল্টে খুশি দিব্যি। বলছেন এই আবহাওয়ার মতোই শান্ত থাকুক চারপাশ। কর্মী সমর্থকরাও আর বেজার মুখে হাঁটছেন না। বিকেলে যদি হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামে? তার কথা মাথায় রেখে হাতে ছাতা রাখবেন। ক্যাডারদের মতে, এই বৃষ্টিতে একটু ভিজেও স্বস্তি। বরানগরে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে প্রচার করছেন সায়ন্তিকা, যাদবপুরে সায়নী। বৃষ্টির রেশ সামান্য বাড়লে ছাতা খুললেও চলে, না খুললেও চলে।কর্মী সমর্থকরা বলছেন, এখনও রণে ভঙ্গ দেওয়ার মতো হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি তো নামেনি। আর যদি নামে? তাতে কি ঘাসফুল আঁকা ছাতা মাথা বাঁচাতে যথেষ্ট? উত্তর সহজ, যদি তাতে নাও হয়, তাহলে রইল পাড়ার মুদির দোকান, ক্লাব ঘরের শেড। দৌড়ে যেতে কতক্ষণ আর। এদিকে রবিবার থেকেই প্রচার শুরু করেছেন সদ্য টিকিট পাওয়া বাম প্রার্থী প্রতীক উর রহমান। প্রথম প্রচারের দিনেই বৃষ্টিকে পেয়ে বলছেন "প্রকৃতি সহায়"। বিচ্ছিরি গরমটার পর এই হালকা বৃষ্টিতে মানুষজন ছুটির মেজাজে বাজার করছেন, ঘুরছেন। তাতে সকাল থেকে তাঁর জনসংযোগে সুবিধাই হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কথা শুনে কিছুটা হতাশ হলেন বিষ্ণুপুরের প্রার্থী, সমর্থকরা। সুজাতা মন্ডল প্রচার করছেন, তবে সেই স্বস্তি পাচ্ছেন না। সেখানে এখনও বৃষ্টি পৌঁছয়নি। হালকা রোদ, হালকা মেঘ নিয়ে সকাল থেকে ঘুরে এবার একটু বৃষ্টি চাইছেন। মিছিলে থাকা কোনও কর্মী হয়তো চারপাশের বৃষ্টি বিবরণী শুনে মনে মনে বলছেন, "আয় বৃষ্টি ঝেঁপে..."
ছবি-সংগৃহীত