মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

TheArcArt

কলকাতা | নাবালিকা প্রসূতি: অশিক্ষায় গর্ভাবস্থা নাকি সামাজিক ব্যাধি?

Gopal Saha | | Editor: Sourav Goswami ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৭ : ২৯Sourav Goswami


আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, আর সেই উপলক্ষে স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে চিকিৎসকরা ও নানা স্তরের মানুষ যেমন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, একই রকম ভাবে প্রতিটি স্তরের চিকিৎসকরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য একাধিক পদক্ষেপ ক্রমাগত নিয়ে চলেছেন। কিন্তু তথাপি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় একাবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়েও স্বাস্থ্য সচেতনতায় একটি অংশ এখনো অবচেতন রয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে 'নাবালিকা গর্ভধারণ' একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় এবং যার মধ্যে বাল্যবিবাহ আজও ক্রমাগত হয়ে চলেছে পূর্বের ঐতিহ্য বহন করে, যা অচিরেই বন্ধ হওয়াটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তবে শুধু বাল্যবিবাহ নয়, অনেক ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতন, আবেগ তাড়িত হয়ে পালিয়ে বিবাহ সহ একাধিক বিষয় রয়েছে নাবালিকাদের মা হওয়ার পেছনে। রাজ্য সরকার পর্যন্ত এ বিষয়ে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিমুহূর্তে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে 'নাবালিকা গর্ভধারণ' কোনভাবে না হন। কিন্তু তথাপি এখনো পর্যন্ত সমাজ সচেতনতায় একটা খামতি রয়ে গিয়েছে, রয়ে গিয়েছে একটি ব্যাধি হিসাবে।

উল্লেখ্য, প্রাক স্বাধীনতা পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বহু লড়াই করে ব্রিটিশ আমলে ১৮৮৯ সালে আইন বলবৎ করিয়েছিলেন বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে সেই আইনকে আরো শক্ত করে ২০০৬ সালে মহিলাদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ২১ বছর না হলে বাল্যবিবাহের তকমা এবং যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সাজাযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তারপরেও সমাজের এই ধরনের ঘটনা আজও পর্যন্ত গ্রাম এবং শহরেও ক্রমাগত ঘটে চলেছে নানা কারণে। 

পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখতে গেলে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রত্যেক বছরে কমবেশি প্রায় ২.২ কোটি কিশোরী (১৫-১৯) (টিন-এজ প্রেগনেন্সি) অপরিণত মাতৃত্বের আওতায় পড়ে। অন্যদিকে অপরিণত মাতৃত্বের ক্ষেত্রে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ৬.৮ শতাংশ (জাতীয় মহিলা স্বাস্থ্য বাৎসরিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী) এবং পশ্চিমবঙ্গে বছরে নাবালিকা গর্ভাবস্থার পরিমাণ ১৭% এবং বাল্যবিবাহ ৪%। এদের মধ্যে অপরিণত মাতৃত্বের যন্ত্রণা ভোগ করেছে বার্ষিক হারে প্রায় ১ কোটির বেশি নাবালিকারা। আনুমানিক, এবং ৫৫% নাবালিকা প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে গর্ভপাতের কারণে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহারের সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি।

এই বিষয়ে মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক তাপস প্রামানিক বলেন, "অকাল প্রসব অর্থাৎ নাবালিকাদের মাতৃত্বের কারণে নানা রকম জটিল সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, মা এবং সন্তান উভয়ই। নাবালিকা মায়েদের ক্ষেত্রে কম ওজন, উচ্চমাত্রায় রক্তচাপ, রক্তাল্পতা, মানসিক সমস্যা অর্থাৎ আবেগপ্রবণতা এবং মনোবিদ্যার সাথে মোকাবিলা করা এবং একইসঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক মোকাবিলা যা মায়ের জীবন সংশয় বা মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে শিশুটির ক্ষেত্রেও জন্মের সময় কম ওজন, অসময়ে জন্ম, শ্বাসকষ্ট, বিকাশগত বিলম্ব হতে পারে জন্মের সময় মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ না হওয়ার কারণে, এছাড়াও সংক্রমণ এবং আকস্মিক মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে ওই শিশুর। তাই বাল্যবিবাহ কে অবিলম্বে বন্ধ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"

এই বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "নাবালিকা বা অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবাহের প্রভাব সুদূরপ্রসারী। 
একদিকে শরীর অন্যদিকে মন, উভয়ক্ষেত্রেই অপরিণত  মার্তৃত্ব জন্ম দেয় বহুবিধ স্বাস্থ্য-সমস্যার। রক্তাল্পতা, সংক্রমণ, প্রসবকালীন উচ্চরক্তচাপ ও খিঁচুনি, প্রসবোত্তর মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষরণ যা থেকে বাড়তে পারে মৃত্যুহার। তাই প্রয়োজন সচেতনতা ও কঠোর আইন প্রণয়নের। সুস্থ ও পরিণত মার্তৃত্বই হলো নিরাপদ এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ সন্তান, নবীন প্রজন্মের চাবিকাঠি।"

নাবালিকা মায়েদের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, "বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত, নজরে রয়েছে। যতটা সম্ভব এই নাবালিকাদের কাউন্সিলিং করতে হবে, যেকোনো পদ্ধতিতে যা খুবই জরুরী। তবে অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকারও হয় তাঁরা, তার জন্য আইনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।" নাবালিকা গর্ভাবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, "অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যেখানে ছেলেরা বড় অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক সেখানে সেই সমস্ত ছেলেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, আর দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁদেরকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। আর যদি পরিবার বলপূর্বক বাল্যবিবাহে মদত দেয় তাহলে তার জন্য আইন রয়েছে।"


World underage pregnation dayWest BengalChild marriage

নানান খবর

নানান খবর

ডগ-স্কোয়াড: তদন্তকারি আধিকারিকরা কীভাবে শিখছেন তদন্তপ্রক্রিয়া, কোন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় তাঁদের

কসবায় সিপিএমের পার্টি অফিসে তুমুল মারামারি, কামড়াকামড়ি, রক্তাক্ত হল বৈঠক

রক্ত ও চামড়ার মাধ্যমে অ্যালার্জি পরীক্ষা, রাজ্যে প্রথম গবেষণামূলক পরীক্ষাকেন্দ্র চালু হচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

হ্যাকফেস্ট ২০২৫: টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ ও সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভাবনের এক মহোৎসব

ধাপায় আগুন, কালো ধোঁয়াতে ঢাকল গোটা এলাকা

এক মাস ধরে প্রতিদিন সাত ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে মা উড়ালপুল, কবে থেকে কোন বিকল্প পথে যান চলাচল?

দিঘাগামী পুণ্যার্থীদের জন্য সুখবর, কলকাতা থেকে চলবে একগুচ্ছ ট্রেন

শিশু থেকে কৈশোর 'রক্তাল্পতা' রোগে আক্রান্তের কারণ কি খাদ্যাভ্যাস, না কি এর নেপথ্যে বড় কোনও সমস্যা?

খাস কলকাতায় পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাইক চুরি, তদন্তে নেমেই চরম পদক্ষেপ গোয়েন্দা বিভাগের

বিবাহ বহির্ভূত প্রেম! সন্দেহের বশে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী, খাস কলকাতায় ভয়াবহ ঘটনা

কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে নার্সিং ক্যাডার নিযুক্তিকরণ অনুষ্ঠান

সপ্তাহান্তে চলবে না ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো, সোমবারেও বন্ধ পরিষেবা, কারণ কী?

যুবকের দেহ উদ্ধারে সাতসকালে চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতায়

সোশ্যাল মিডিয়া