
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: এই শীতে ঘুরে আসুন ইয়েলবং থেকে। লোকজনের ভিড় থেকে দূরে, পাহাড়ের মাঝে কয়েক ঘন্টার ট্রেকিং করে শান্ত নদী পেরিয়ে উত্তরবঙ্গের একমাত্র গিরিখাত ইয়েলবং-এ পৌঁছতে হবে। পথে পাবেন পাহাড়ের পাথরের মাঝে জমে থাকা প্রচুর কয়লা। স্থানীয় কিছু লোকেরা নিজেদের প্রয়োজনে এই কয়লা সংগ্রহ করলেও ব্যবসায়ীক ভাবে এখানে কয়লা উত্তোলন করা হয় না। ভাগ্য প্রসন্ন থাকলে আর কীভাবে কোথায় দেখতে হবে তা জানা থাকলে খুঁজে পেতেও পারেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের ফসিল। প্রজাপতি কিংবা পাখিদের আনাগোনা রয়েছে উপরি।
ইয়েলবং জায়গাটা কালিম্পং জেলায়। বলা হয় এটি উত্তরবঙ্গের একমাত্র ক্যানিয়ন বা গিরিখাত। কয়েক লক্ষ বছর ধরে নরম পাললিক শিলার উপর দিয়ে অনবরত জল প্রবাহিত হওয়ার ফলে তা ক্ষয়ে গিয়ে দুই দিকে দেওয়ালের মত আকার তৈরি করেছে। যার মধ্য দিয়ে এখনকার সুখা মরসুমে প্রবাহিত হচ্ছে ক্ষীনকায় একটা পাহাড়ি ঝোড়া। এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ডিমের আকারের প্রচুর পাথর। দেখতে পাবেন বেলে পাথর, চুনাপাথর, কংগ্লোমারেট, নিস এবং শিলা। ক্যানিয়নের ভেতরে সরু গলির মতো পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। এই পথে কয়েকটা জায়গায় প্রায় কোমর পর্যন্ত জল এবং শেষের দিকে অল্প একটু জায়গায় প্রায় গলা পর্যন্ত জল জমে রয়েছে। বাকি পথ শুকনো। ক্যানিয়নের শেষ প্রান্তে পৌঁছলে দেখা যায় এই ঝোড়াটাই ঝর্নার মতোও পাহাড়ের উপর থেকে নেমে আসছে। দুই দিকে খাড়া দেওয়ালের উপর থেকে সূর্যের আলো নেমে এসে অনেক জায়গায় মায়াবী আবহ তৈরি করছে। জল বেশ ঠান্ডা। নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, এখানে পৌঁছতে যে পরিমাণ খাটুনি হবে, তা এই দৃশ্য দেখে আর ঠান্ডা জলে পা ডুবালে মুহুর্তে উধাও হয়ে যাবে।দেহ ও মন চনমনে করে তুলবে। শীতকালে নদীতে জল কম থাকায় এটাই এখানে যাওয়ার আদর্শ সময়। তবে বর্ষা শুরুর আগে পর্যন্ত যাওয়া যায়। একবার বৃষ্টি হয়ে গেলে আবার এক বছর প্রতীক্ষা করতে হবে।
এখানে যেতে হলে ডুয়ার্সের বাগরাকোট থেকে চুইখিম হয়ে বরবট দিয়ে সিকিম যাওয়ার যে চওড়া নতুন রাস্তাটা তৈরি হয়েছে (NH 717 A), ওই পথ ধরে ১১ কিলোমিটার এগোলে ইয়েলবং মোড়। সেখান থেকে ডান দিকের অল্প খারাপ পাথুরে রাস্তা ধরে বাইক বা গাড়িতে আধঘন্টা চললে আসবে ইয়েলবং গ্রাম। পাহাড়ের উপরের সেই গ্রাম থেকে শুরু হয় ট্রেকিং। পাহাড় থেকে নেমে নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া 'রুমতি খোলা' (রুমতি নদী) পর্যন্ত পৌঁছতে প্রায় এক ঘন্টা সময় লাগে। সেখান থেকে কিছুদূর এগিয়ে আরও একটা ছোট ঝোড়ার পথ ধরে ঘন্টাখানেক চললে ক্যানিয়নের শুরুর জায়গায় পৌঁছে যাওয়া যায়। ফেরার সময়ও এই একই পথ ধরে ফেরা যায় আবার রুমতি খোলা ধরে আরও কিছুটা উজানে গিয়ে 'খাড়ে খোলা'র পথ ধরেও ফেরা যায়। নদীর পর থেকে এই গোটা পথটাই পাহাড়ের গায়ে যে ধাপ চাষ হয় সেই ধাপ বরাবর সরু পায়ে হাটা পথ। ইয়ছলবং গ্রাম থেকে ক্যানিয়ন দেখে ঘুরে ফিরে আবার গ্রামে ফিরে আসতে সাড়ে পাঁচ থেকে সাত ঘন্টা সময় লাগে।
বাগরাকোট থেকে সিকিম যাওয়ার এই রাস্তাটি ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে উদ্বোধন হয়ে গেলেও, এখনও সম্পূর্ণ রাস্তার কাজ শেষ হয়নি। গোটা রাস্তাটাই খুব সুন্দর। একঘেয়েমি ভরা ল্যান্ডস্কেপ নয়। কিছুদূর যেতে যেতেই দৃশ্যপট সব বদলে যায়। রাস্তার শুরুর খানিকটা অংশ এখনও তৈরি হওয়া বাকি, আর মাঝে মাঝেই কিছুটা জায়গায় পিচের আস্তরণ লেগেছে। কাজ চলছে অনেক জায়গাতেই। বৃষ্টি না হলে এই পথে যে কোনও সময়ে অনায়াসে বাইক কিম্বা স্কুটি নিয়েও যাওয়া যায়। বৃষ্টি হলে মেঠো এলাকায় দুই চাকার যানবাহন নিয়ে চলাচল একটু কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।
ইয়ালবং গ্রামেরই বাসিন্দা ফ্রান্সিস এর আতিথেয়তা অনবদ্য, ওর বাড়িতেই রয়েছে হোমস্টে। দিনে গিয়ে দিনেই ফেরার দলেদের জন্যও রয়েছে খাওয়াদাওয়াও সুবন্দোবস্ত। রাতে তাঁবুতেও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। গোটা এলাকাতেই মোবাইল নেটওয়ার্ক খুবই খারাপ, তাই ফোনে যোগাযোগ করাটা একটু কষ্টকর। তবে পৌঁছে গেলে খালি পেটে কাউকেই ফিরতে হবে না। ইয়ালবং মোড় এর কাছেই রয়েছে চুইখিম, বরবট। আরোও কিছুটা এগিয়ে চারখোলে। চারখোলে'কে বাম দিকে রেখে আরোও কিছুটা এগিয়ে গেলে পৌঁছে যাবেন লোলেগাঁও। এর কাছেই কাফিরগাঁও, ডাবলিং, নোকদাড়া, মানজিং, লাভা। প্রতিটি জাগয়াতেই রয়েছে কয়েকটি করে হোমস্টে। এই শীতে নতুন পথে ঘুরে আসতেই পারেন।
মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন
বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি
শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা
বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট
আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা
আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.০৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির পড়ুয়া
অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ সৌগত রায়
সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হল তুমুল বাগবিতণ্ডা, সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বিদায়ী সভাপতির
'ভগবানের কাছে এসেছি, যাঁরা বুঝতে পারছেন না ভগবান তাঁদের সুমতি দিন', দিঘায় জগন্নাথধাম দর্শনের পর জানালেন দিলীপ
স্ত্রীকে খুনের পর দুই শিশু সন্তানের গলায় ভোজালি ধরে ঘরবন্দি, ঘটনা হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও