
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
মিল্টন সেন,হুগলি: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন মানেই বিখ্যাত শোভাযাত্রা। আলোর শোভাযাত্রা। বড় লরিতে সুউচ্চ জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। সঙ্গে থাকে আরও একাধিক লরি। সেগুলিতে থাকে আলোর নানান কারসাজি। সোমবার শোভাযাত্রা প্রসঙ্গে চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেছেন, কেন্দ্রীয় পুজো কমিটির অন্তর্ভুক্ত মোট পুজো বারোয়ারি সংখ্যা ১৭৭ টি। যদিও সব পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহণ করে না। এবছর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করছে ৬৯ টি বারোয়ারি। বাকি ১০৮ টি বারোয়ারী তাঁদের প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু করেছেন সকাল থেকেই।
প্রতিমা নিরঞ্জন চলেছে চন্দননগর থেকে ভদ্রেশ্বর পর্যন্ত মোট ১৪ টি ঘাটে। এর মধ্যে প্রধান তিনটি ঘাট চন্দননগরের রানীঘাট, শিববাটি ঘাট এবং ভদ্রেশ্বরের শ্রীমণি ঘাট। এবারের শোভাযাত্রায় মোট ২৪৫ টি লরি থাকছে। উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী বারোয়ারী পিছু সর্বোচ্চ চারটি লরি ব্যবহার করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যাদের জুবিলী রয়েছে, শুধু মাত্র তাঁদেরই চারটি লরি ব্যবহার করার অনুমোদন রয়েছে। বাকি বারোয়ারিদের জন্য দুটো অথবা তিনটে। তবে অধিকাংশ বারোয়ারি দুটো, তিনটে লরি ব্যবহার করেছে। একাধিক বারোয়ারি একটি লরিতে প্রতিমা আলো সহকারে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছে। পুজো চলাকালীন বারোয়ারির তরফে লরি গুলিকে আলো দিয়ে সাজানোর কাজ চলেছে।
সোমবার সন্ধে ৭ টা নাগাদ শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চলবে ভোর রাত পর্যন্ত। এদিন সকাল থেকেই যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন না এমন বারোয়ারীর তরফে শুরু হয়েছিল প্রতিমা নিরঞ্জনের প্রস্তুতি। বেলা গড়াতেই ধীরে ধীরে উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিয়ে গঙ্গার ঘাটের দিকে এগোতে শুরু করেন। বিকেলের দিকে শুরু হয় নিরঞ্জন পর্ব। লাইন দিয়ে একের পর এক প্রতিমা নিরঞ্জন হতে থাকে গঙ্গায়। সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ শুরু হয় বহু প্রত্যাশিত চন্দননগরের সেই বিখ্যাত শোভাযাত্রা। নম্বর অনুযায়ী সুশৃঙ্খল ভাবে এগোতে থাকে দু থেকে তিনটি লরিতে বিশাল বিশাল আলোকসজ্জা। সঙ্গে বিশাল উচ্চতার জগদ্ধাত্রী প্রতিমাও এগিয়ে যান শোভাযাত্রা রুট ধরে। শোভাযাত্রার প্রথম নম্বরে ছিল বড়বাজার, তার পেছনে হাটখোলা নোনাটোলা, দৈবকপাড়া, বেশোহাটা ইত্যাদি বারোয়ারী পর পর এগিয়ে যেতে থাকে। স্ট্যান্ড রোড থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রা এগোতে থাকে উর্দিবাজারের দিকে। সেখান থেকে লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার, সর্ষেপাড়া, পঞ্চানন তলা, তালডাঙ্গা, পালপাড়া রোড, বিদ্যালঙ্কা, বাগবাজার, জিটি রোড হয়ে রথের সড়ক জ্যোতি মোড়। এভাবে শহরকে প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রা।
আলোর শহরে জগদ্ধাত্রী শোভাযাত্রা মানেই থাকবে চমক। এবছরও অন্যথা হয়নি। চমক ছিল। সোমবার, দশমীর সকাল থেকেই পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি ছিল এই বছর শোভাযাত্রায় আলোর চমক থাকবে একেবারে অনন্য। চন্দননগর শোভাযাত্রা ও বিসর্জন উপসমিতির চেয়ারম্যান মানব দাস দাবি করেছিলেন, এবছরই প্রথম ইলেকট্রিক্যাল, মেকানিক্যাল, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং গ্রাফিক্স এর কম্বিনেশনে আলোর জগতে উন্মুক্ত হতে চলেছে নতুন দিগন্ত। আর সেই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে সারা পৃথিবীর মানুষ সরাসরি দেখবেন। তিনি বলেছিলেন, চন্দননগর নয়, ইংরেজিতে 'চান্দেরনগর সেন্ট্রাল জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি' র ফেসবুক পেজে এই অভিনব আলোর জাদু সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। সরাসরি সম্প্রচার হবে চন্দননগর স্ট্যান্ড এবং তালডাঙ্গা এই দুই এলাকা থেকে। কার্যত তা হয়েছে। বিশাল লরিতে বড় লাইটের তৈরি হাঁস। সে আবার মাথা ঘুরিয়ে এদিক ওদিক দেখছে। এছাড়া চলমান টম জেরি, কাঠবেড়ালি সহ আলোর তৈরি নানান রকমের চলমান আকৃতি ফুটে উঠেছে। আর সেই শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দুপাশে অগণিত মানুষের ভিড় দুপুর থেকেই অপেক্ষারত অবস্থায় দেখা গেছে।
ছবি পার্থ রাহা।
মুখ্যমন্ত্রীর মুর্শিদাবাদ সফরে বড়সড় বদল, নতুন সফরসূচি জানিয়ে দিল প্রশাসন
বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হাতে অপহৃত কৃষক উকিল বর্মন, বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলেন রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের আইজি
শুধু সি-ফেসিং নয়, হোটেল হতে হবে মন্দির-ফেসিং, দিঘায় তুঙ্গে চাহিদা
বিজেপি বনাম বিজেপি, পশ্চিম মেদিনীপুরের রাস্তায় দুই গোষ্ঠীর মারপিট
আইএসসি পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় ও পঞ্চম স্থানে কোচবিহারের আত্রেয়ী-অনুষ্কা
আইসিএসই পরীক্ষায় ৯৯.০৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিল হুগলির পড়ুয়া
অনুষ্ঠানে গিয়ে আচমকা অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি সাংসদ সৌগত রায়
সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হল তুমুল বাগবিতণ্ডা, সাংসদের সঙ্গে তর্কাতর্কি বিদায়ী সভাপতির
'ভগবানের কাছে এসেছি, যাঁরা বুঝতে পারছেন না ভগবান তাঁদের সুমতি দিন', দিঘায় জগন্নাথধাম দর্শনের পর জানালেন দিলীপ
স্ত্রীকে খুনের পর দুই শিশু সন্তানের গলায় ভোজালি ধরে ঘরবন্দি, ঘটনা হার মানাবে ক্রাইম থ্রিলারকেও