
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইভিএম থেকে শুরু করে আধার কার্ড আটকানোর চেষ্টা। সেইসঙ্গে দুর্নীতি। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের পর এনডিএ জোটের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একের পর এক বাণ ছুঁড়েছেন বিরোধী আইএনডিআইএ বা 'ইন্ডিয়া' জোটের দিকে। যার বিরুদ্ধে পাল্টা বাণ ছুঁড়েছেন কংগ্রেস-সহ এরাজ্যে জোটের দুই শরিক তৃণমূল এবং সিপিএম।
এদিন ভাষণে মোদি অভিযোগ করেন, ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা ইভিএম-এর নিন্দা করে। আধার কার্ড আটকাতেও সুপ্রিম কোর্টে যায়। একইসঙ্গে এনডিএ সবসময় দুর্নীতিমুক্ত সরকার উপহার দিয়েছে সেই দাবি তুলে দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, ইউপিএ পাল্টে ইন্ডিয়া নাম হলেও লোক তাদের দুর্নীতি ভুলে যায়নি।
পাল্টা জবাবে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যান ব্যানার্জি বলেন, 'মুখে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলে নরেন্দ্র মোদি হয়ে গেলেন পরনির্ভর প্রধানমন্ত্রী। এই সরকার খুব বেশি হলে দেড় থেকে দু'বছরের সরকার। যে আধার কার্ডের কথা তিনি বলছেন সেটা তো নিজেরাই চালু করেও নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট তো বলেছিল আধার একমাত্র ভর্তুকি ছাড়া অন্য কোথাও বাধ্যতামূলক নয়। এবার যদি দুর্নীতির কথা বলা হয় তাহলে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের নিয়ে তিনি চলছেন। উদাহরণ হিসেবে প্রফুল প্যাটেল, অজিত পাওয়ারদের মতো লোকের নাম উঠে আসবে। এঁদের বিরুদ্ধে তো মামলা আছে। তাঁর সঙ্গী আরও অনেকের বিরুদ্ধেই ইডি, সিবিআইয়ের মামলা আছে। নরেন্দ্র মোদি একজন মিথ্যাচারী, এককথায় বাতেলাবাজ প্রধানমন্ত্রী।'
রাজ্যের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে একটা বিষয় আমরা লক্ষ্য করেছি ওঁর একটা নেহেরু পরিবারের প্রতি রাগ আছে। সেজন্যই ক্ষমতায় এসেই নেহেরুর তৈরি প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিলেন। কথায় কথায় তিনি কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। মুষ্টিমেয় কিছু শিল্পপতি পরিবেষ্টিত হয়ে তিনি মনে করেন তাঁদের স্বার্থই বোধহয় দেশের স্বার্থ। আসলে তিনি বুঝতে পেরেছেন এবার আর আগের মতো যা খুশি তাই করা যাবে না। কারণ, বিরোধী ইন্ডিয়া জোট যথেষ্ট শক্তিশালী। সেজন্যই এই ধরনের কথাগুলো বলছেন।'
সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক ও রাজ্য সিপিএমের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কল্লোল মজুমদার বলেন, 'নরেন্দ্র মোদি অন্যের দুর্নীতির কথা বলেন কী করে? বিজেপি তো দেশের সবচেয়ে বড় বড় দুর্নীতিগুলো করেছে। দুর্নীতি করে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা তাঁরা সংগ্রহ করেছেন এবং শুধু তাই নয় এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অন্যদেরও টাকা তোলার সুযোগ তারাই তৈরি করে দিয়েছে। নীরব মোদি, মেহুল চোক্সির ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা নেওয়া এবং তারপর তাদের বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো উদাহরণ তো বিজেপির আমলেই হয়েছে। এখান থেকে লাভের গুড় তো বিজেপিও খেয়েছে। দুর্নীতির উদাহরণে বিজেপি তো এখন দেশের একেবারে মাথায় বসে আছে।