
সোমবার ০৫ মে ২০২৫
বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: ১৯৮২ সালে সিনেমা তৈরির আগে পর্যন্ত মহাত্মা গান্ধীকে কেউ চিনতেন না। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এমনই দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গান্ধীজী এবং তাঁর আদর্শকে বিগত কংগ্রেস সরকার তুলে ধরেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে তৈরি হয়েছে হাসির খোরাক। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, ভোট বৈতরণী পার হতে এবার মহাত্মা গান্ধীকে হাতিয়ার করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, 'মহাত্মা গান্ধী ছিলেন বিরাট বড় মাপের মানুষ। গত ৭৫ বছরে তাঁর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য তুলে ধরার কি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? কেউ জানতেন না। আমায় ক্ষমা করবেন। ১৯৮২ সালে যখন প্রথমবার গান্ধীজীকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়, তখন সারা বিশ্ব চমকে যায়, তিনি কে। যদি সারা বিশ্ব মার্টিন লুথার কিং, নেলসন ম্যান্ডেলাকে জেনে থাকেন, তাহলে গান্ধীজী তাঁদের থেকে কোনও অংশে কম নন, সেটা মানতে হবে। সারা বিশ্ব ঘুরে আমি একথা বলছি যে, গান্ধীজী এবং তাঁর মাধ্যমে সারা ভারতের স্বীকৃতি হওয়া উচিত ছিল।' ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত টানা ৫ বার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন গান্ধীজী। যদিও একবারও সেই পুরস্কার গ্রহণ করেননি তিনি।
কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদির এই মন্তব্যের সমালোচনায় সরব হয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র ডঃ শামা মহম্মদ বলেছেন, 'মোদিজী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। মৃত্যুর সময়ে গান্ধীজীর কথা বলেছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন। নিজের জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে গান্ধীজীকে মানতেন মার্টিন লুথার কিং। সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশে বাপুর মূর্তি রয়েছে।' তৃণমূলের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, 'দুর্ভাগ্যবশত, মহাত্মা গান্ধীজী, যিনি সারা বিশ্বে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব এবং যাঁকে সারা বিশ্ব সম্মান এবং স্বীকৃতি দেয়, তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। মোদিজী, গান্ধীজী প্রত্যেকটি ভারতবাসীর মনে রয়েছেন।'