
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে রবিবার উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বালুরঘাটে বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। তাঁর হয়েই প্রচার করেন মমতা।
এদিন শুরুতেই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘বলে বোমা ফাটাব। একটা কালিপটকা ফাটিয়ে দেখো। বোমা তোমাদের বিরুদ্ধে ফাটাব। কালো টাকা কোথায় গেল ? গদ্দার জবাব দাও। সকলকে ১৫ লক্ষ টাকা দেবে বলেছিল। কেউ টাকা পেয়েছেন ? কোভিডের ইনজেকশন দিল। তাতেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিজ্ঞেস করুন, হরিদাস গদ্দার। কী ছিলে, কী হয়েছ? আঙুল ফুলে কলাগাছ। কেন বিজেপিতে গেলে? টাকা বাঁচাতে, পরিবার বাঁচাতে। বিজেপি কাল থাকবে না, তোমাদের মতো গদ্দারদের জায়গা দেব না।’
আবাস যোজনা নিয়েও এদিন বিজেপিকে জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, ‘সব থেকে বড় ডাকাত বিজেপি। বলে আমরা আবাস করতে দিইনি। ৪২ লক্ষ আবাস করেছি। সত্যি হলে কান মুলে ক্ষমা চাইবেন। সত্যি না হলে মিথ্যে বলবেন। সব পঞ্চায়েত আমাদের নয়। তা সত্ত্বেও সব দেখে ৪২ লক্ষ বাড়ি আগে করেছিয় আরও ১১ লক্ষ বাড়ি করব। কেন্দ্র এই টাকা একা দেয় না। মাছের তেলে মাছ ভাজে। বলে আমরা টাকা খেয়েছি। ৪২ লক্ষ বাড়ি ওরা একা করেছে।’
বাংলায় এনআরসি করতে দেওয়া নিয়ে এদিন ফের সুর চড়ান মমতা। তিনি বলেন, ‘ওরা বলে, আমি এনআরসি করতে না দেওয়ার কে ? কোন হরিদাসপাল। আমি বলেছি করতে দেব না। অসমে করেছিল। সেখানে প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র তৃণমূল।’
দূরদর্শনের গেরুয়া রং নিয়ে এদিন ফের একবার বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দূরদর্শনের রং গেরুয়া হচ্ছে কী ভাবে ? রেল স্টেশনের রং কী ভাবে হচ্ছে? আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর বাড়ির রং গেরুয়া হচ্ছে। যাঁরা সাধু হচ্ছেন, তাঁদের অপমান নয় ? কাশিতে পুলিশকেও গেরুয়া পরিয়েছেন। কবে বলবে দেখবেন, সকালে গেরুয়া শরবত খেতে হবে। কে কী পরবেন, রং পছন্দ করবেন নিজের বিষয়।’