
মঙ্গলবার ০৬ মে ২০২৫
রিয়া পাত্র
বাঙালি জানে, হেমন্ত আর আলো যেন একসঙ্গে মিলেমিশে একাত্ম হয়ে থাকে। গ্রামে বা শহরে উৎসব আসার ধরণ একটু ভিন্ন হলেও, এই সময়ে দুই জায়গাতেই একটা ছবি একই। তোড়জোড় চলছে ঘরে ঘরে আলোর মালা সাজানোর। চাঁদনি, বড়বাজারের বাজারে দরদাম চলছে আলোর মালার, ব্যাটারি মোমবাতির। এবার বাজারে হিট জলের প্রদীপ। দেখতে প্রদীপের মতোই, ভেতরে নাকি রয়েছে সেন্সর! ক্রেতাদের সামনেই দেখাচ্ছেন, প্রদীপে একটু জল ঢাললেই জ্বলে উঠছে। দাম ২০ থেকে ৩০টাকা। পদ্ম ফুলের মতো দেখতে, জলে নামিয়ে দিলেই জ্বলে ঊঠবে, সেসব প্রদীপ দেদার বিকোচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আবার রয়েছে কিউব আলো, জলে ফেলে দিলেই ঝকঝক করছে হিরের টুকরোর মতো।
আগে মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজানো হত ঘরের দরজা, উঠোন, ছাদের কার্নিশ, ঠাকুর দালান। মাটির প্রদীপ এখনও নিজের জায়গায় রয়েছে। কিন্তু মাটির প্রদীপের মাঝেই বারান্দা, জানালা, ঘরের ভেতর জায়গা করে নিয়েছে ইলেকট্রিক, ব্যাটারির মোমবাতি, রকমারি আলোর মালা, বাহারি ঝাড়বাতি। শুধু যে দৃষ্টিনন্দন তাই নয়, আগুন আতঙ্কও নেই। চাঁদনিতে প্রায় ৪০ বছর ধরে দোকান ইমজাদ খানের, তিনি বলছেন, ‘ গত ১০-১২ বছর ধরে চাঁদনির এই গলি আলো গলি বলে লোকে ডাকে। আগে ছিল কাগজের মালা, মাঝে মাঝে আলো। পরে এল লিচু লাইট। এখন মানুষ চকচকে, উজ্জ্বল, বেশি চমকদার জিনিস চাইছেন, আগের সেসব আলো এখন শুধু আমাদের মনেই রয়ে গিয়েছে।‘ চাঁদনিতে ১০-১২ বছর ধরেই আলো বিক্রি করছেন মহম্মদ সনু, তাঁর সাফ যুক্তি, ‘মানুষের চাহিদা মেনে বদলাচ্ছে সব। তেমনই বদলাচ্ছে আলো। এখন এসএমডি, এলইডি বাজারে চলছে। এগুলো টুনি বাল্বের হাই কোয়ালিটি। সঙ্গে চলছে ডিস্কো লাইট। দরজা বারান্দায় মানুষ স্ট্রিপ লাইট লাগাচ্ছেন। ‘ আলোর বাজারে যেমন চোখ ধাঁধিয়ে যাবে রোশনাই দেখে, তেমনি হকচকিয়ে যেতে পারেন দাম শুনেও। কোথাও টুনি আলোর মালার দাম ১৫০ টাকা, দেখতে অবিকল একই আলো আবার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। দু’ জনেই আলো জ্বালিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন। দুই দোকানেই ভিড় ক্রেতার।" কতদিন চলবে এই আলো? উত্তরে ক্রেতার সাফ যুক্তি, ’৬০ টাকার আলো ১০ দিন চললেও হবে। ‘ বারাসাত থেকে এসেছেন, ৬০ টাকার আলোর মালা কিনলেন ৫০টি। আলোর মালার আবার নানা ধরণ, কোনওটার নাম গ্রেপস আলো, কোনওটা গোলাপ আলো। আবার রয়েছে ‘করোনা লাইট’ , ভাইরাসের মত দেখতে। ১৬টি আলোর এক একটি আলোর মালা দরদাম করলে ১০০,১৫০ টাকায় মিলে যাচ্ছে। রয়েছে ঝাড়বাতি আলো, সেগুলির দাম ২৫০ থেকে ৮৫০ পর্যন্ত। ব্যাটারির মোমবাতি, প্রদীপ, পদ্ম আলোর দোকান মদম্মদ নাসিমের। মোমবাতির মতোই দেখতে প্রদীপ, তার আবার হরেক রকম। কোনওটার দাম ২৫, একটু বড় সাইজ ৩০। আবার একেবারে মোমবাতির ফিনিশিং-এর দেখতে ১৫০ টাকা। চাঁদনির আলোর বাজারে ৩০-৩৫ টি আলোর দোকান। ২০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকার রকমারি আলো মিলছে। কেউ বলছেন ভালোই যাচ্ছে বাজার, কারও আবার বিক্রি কম কিছুটা। অনেকেই বলছেন অনলাইন মার্কেটিং বাজার খাচ্ছে তাঁদের। তবু এখনও হাতে সময় আছে কয়েকদিন। তাঁরা অপেক্ষা করছেন আলো জ্বালিয়ে, আলো বিক্রির। আলোর বাজার ঘুরলে আরও একটা জিনিস লক্ষণীয়, ব্যাটারি, ইলেকট্রিকের আলো কিন্তু আদতে সেই মোমবাতি, প্রদীপ, হ্যারাকিন আর পদ্মফুলের আদলেই। আগুনের বদলে এসেছে শুধু ব্যাটারি বা ইলেকট্রিক।
সন্ধ্যা নামতেই সদয় বরুণদেব, কলকাতায় ঝেঁপে বৃষ্টি, আগামী কয়েক ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
নিজেদের জীবন বাঁচান আগে, বড়বাজারে বাসিন্দাদের অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর
মেছুয়ায় হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হোটেল মালিক ও ম্যানেজার
শহর কলকাতায় ফের অগ্নিকাণ্ড, এবার চিনার পার্কের রেস্তরাঁয় লাগল আগুন
মেচুয়াপট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: কী জানালেন প্রত্যক্ষদর্শী?
টানা ১৯ দিন এই ডিভিশনে বাতিল থাকবে একাধিক লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন, কেন?
বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের পাশে রাজ্য, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা মমতার
মা ফ্লাইওভারে ফের দুর্ঘটনা, বেপরোয়া বাইক চালিয়ে মৃত এক
কেউ ঝাঁপ দিয়ে বাঁচতে গিয়ে, কেউ অগ্নিদগ্ধ, মেছুয়া বাজারের হোটেলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১৪